বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নন-একাডেমিক ব্যক্তিকে নিয়োগের প্রতিবাদে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শনিবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
উল্লেখ্য গত ৬ মে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমতিক্রমে বশেফমুবিপ্রবি আইন, ২০১৭ এর ধারা ১৩(১) অনুযায়ী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পিআরএল ভোগরত) মোহাম্মদ আবদুল মাননানকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রতিবাদলিপিতে তারা বলেন, এই নিয়োগ সামগ্রিকভাবে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’-এর ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমান প্রবর্তিত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্বশাসনের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ।
‘এ ধরনের নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা, জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণ ব্যবস্থাপনারীতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষাবান্ধব সরকারের নীতি ও শিক্ষা-দর্শন এবং সর্বোপরি গণতন্ত্র ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-বিরুদ্ধ।’
তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদটি অন্য আর দশটি প্রতিষ্ঠানের কোষাধ্যক্ষ পদের সঙ্গে কোনোভাবেই তুলনীয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কোষাধ্যক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণঅর্থব্যবস্থাপনার নীতি প্রণয়নে কাজ করেন বিধায় শ্রেণীকক্ষের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন একাডেমিক ব্যাক্তি অর্থাৎ একজন অধ্যাপককে এ পদে আসীন করা যুক্তিযুক্ত ও প্রত্যাশিত।
সর্বোপরি চবি শিক্ষক সমিতি, এ আদেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বেএ অযৌক্তিক আদেশ প্রত্যাহার করে একজন স্বনামধন্য অধ্যাপককে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদানের জোর দাবি জানান।